পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অ-প্রেরিত প্রেমের চিঠি-১

ছবি
প্রিয়তমা,  আমি আজ তোমাকে যে চিঠিটি লিখছি, সে  চিঠি আজো কোন কবি তার প্রেমিকাকে লেখেনি।  আমি তোমাকে লিখছি: আমার সমস্ত স্বত্বা  আর বিবেকের অনুপ্রেরণায়।  একটি দীর্ঘ ভালবাসার চিঠি, একটি স্বপ্নের সবিস্তার,  মৌনতার বিষাদময়তায় গুটি গুটি অক্ষরগুলো  তোমার চেতনাকে আলোড়িত করবে।  তুমি কোনদিন ভাবতেও পারোনি কোন এক  অখ্যাত " সাইকো " তার বিশ্বাসের পুঁজি দিয়ে  তোমার জন্য রচনা করবে এরকম একটি চিঠি...!! কেমন আছ তুমি? নিশ্চয় অনেক ভাল আছো, সুখেই আছো। তোমার সুখের পথে আমি তো একমাত্র বাঁধা ছিলাম। এখন আমি নেই, নেই কোনো আমার অস্তিত্ব কিংবা এমন কোনো স্মৃতি, যা তোমার সুখের স্বপ্নে হানা দিবে।  আর তোমার শয্যাসঙ্গী কেমন আছে তাকে আমার সালাম জানিও।  আজ ইচ্ছে করছে কয়েক দিস্তা কাগজে তোমায় নিয়ে একটা প্রেমের চিঠি লিখতে। হয়তো আমি কবি নয় তাই  কবিদের ভাষা না হোক আমার মনের ভাষায় লিখতে। হৃদয়ের কথা গুলো তুমি মন দিয়ে পড়বে আর হারিয়ে  যাবে আমার ভালোবাসার গভীরে। সেই প্রথম হারিয়ে গিয়েছিলে ০৩-০৩-২০১০ এর করিডোরে। আগে কখনো তোমায় চিঠি লিখিনি, আজ লিখবো । তোমার প্রতি কখনো কখনো খুব অবাক হয় আমি, কেমন করে এতটা অনুভূ

অদৃশ্য বনলতা

ছবি
চেয়ে আছি শূণ্যপানে দূর থেকে বহুদূর, তাকিয়ে র'বো স্থির আঁখি যুগলে দৃষ্টি যায় যতদূর। অদৃশ্য মানবী বনলতা আঁকি যারে কল্পনায়, ব্যস্ত শহরের প্রতি গলিতে যাকে আমি খুঁজে বেড়ায়। রহস্য মনে খুঁজি তোমায় পরিযায়ী পাখির বেশে, যাত্রিক হয়ে খুঁজবো আমি নিশি আর বেলা শেষে। বিশ্ববিমোহন আঁখি বনলতার মুখে আছে অপরূপ মায়া, বনলতা তোমার ঠোঁটের অবয়ব দোরোখা তোমার কায়া। কিন্নরের কণ্ঠে ডাকি তোমায় এসো ছেড়ে সব ভিড়, বনলতার জন্য রাখবো খোলা আমার হৃদয়ের নীড়। রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ৭ চৈত্র ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ২১ মার্চ ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী

বেশ্যা এবং আগুন্তক

ছবি
আগন্তুক দরজায় কড়া নাড়তেই ভিতর থেকে নারী কন্ঠ এলো, দরজা খোলা ভিতরে আসুন। আগুন্তক ভিতরে ডুকতেই দেখতে পেলো, মেয়েটি উপর হয়ে শুয়ে আছে পড়নের শাড়ি বিছানার এক পাশে রাখা। অর্ধ উলঙ্গ দেহ টা ক্লান্তিতে লেপটে আছে বিছানাতে। আগুন্তক তার লোলুপ দৃস্টি দিয়ে ভোগ করতে লাগলো তার দেহ। কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর আগুন্তক বললো, আমি কি চলে যাবো অন্য ঘড়ে...??? মেয়ে টি ঘুড়ে তাকালো আগুন্তক এর দিকে এবং বললো সব তো একই রকম কি পাবে অন্য ঘড়ে গিয়ে...??? আগুন্তক দ্বিতীয় বার দেখলো তার দেহ টা কে। চোখের নিচে কালো দাগ, শুকনো ফাঁটা ঠোঁট। জানি, অনেকদিন ঘুম হয়নি বড়ই ক্লান্ত তার কামনার প্রয়াস। ব্লাউজের উপরের দুটা বোতম খোলা দেখেই আগুন্তকের ক্ষুধা দ্বিগুন হয়ে গেলো, ইচ্ছে করতে ছিলো হিংস্রতার থাবায় পিস্ট করে দিতে তার উর্বর বুক। আগুন্তক এগিয়ে গেলো তার দিকে, খাটে এক পাশে বসে আলতো করে একটা হাত রাখলো তার দেহে। কিন্তু তার নরম শান্ত দেহে কামনার লেস মাত্র নেই। আগুন্তক বলো তুমি কি ক্লান্ত...??? মেয়েটি : নাহ! আমি ঠিক আছি! টাকা দাও কাজ সেরে চলে যাও বিরক্ত করো না। আগুন্তক একটু অস্থিতি বোধ করতে ছিল তার কথা শোন

সাতরঙা বৃষ্টি

ছবি
নীল পাহাড়ের সাথে মেঘের আলিঙ্গনে নীলাভ বৃষ্টি ঝরে সবুজ ধরনীতে। মৃদু স্পর্শের মায়ায় বৃষ্টি ফোঁটা ছুটে আসে তৃপ্ততায় ভরে উঠা মৃত্তিকারা হাসে। বাতাসের মাঝে লোহিত ঘ্রানে পাখির ডানা ঝাপটানো আশ্রয়ে ফিরোজা রঙের বৃষ্টি নামে। রুপালী জোস্নায় নদী পাড়ে রুপালী বৃষ্টি ঘুৃমিয়ে পড়া মাছে দের সুখের সৃষ্টি। দেয়ালের চুন খসা প্রাচীন শহরের মাঝে ছবির মত জলপাই রঙের বৃষ্টিরা সাজে শতবর্ষী গাছগুলো আনন্দে বাঁচে। মরুভূমির নিষ্ঠুর প্রকৃতিকে বৃষ্টিরা ভয় পায় সবুজ বৃষ্টি নামে এখানে বাঁচার আশায়। সন্ধ্যা বেলার বৃষ্টির নাকি রঙ থাকে না নিয়ন আলোয় রঙিন বৃষ্টি কেউ দেখে না। ভালোবাসার বৃষ্টি হয় রঙিন ঘূড়ির মত সব বৃষ্টির মত, সাতরঙা প্রজাপতির মত। ব্রিঃদ্রঃ=আমার খুব প্রিয় মানুষ " লাবণ্য " কে উৎসর্গ করে লেখা, যে মানুষটা বৃষ্টি খুব ভালোবাসে..!! রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ২৩ ফাল্গুন ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ৭ মার্চ ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী

পি-এস আই লাভ ইউ

ছবি
হৃদয় আছে যার সেই তো ভালোবাসে, সব মানুষের জীবনে প্রেম আসে। প্রেম আমারো এসেছিলো দুয়ারে অতি নিরবে ০৩-০৩-২০১০ সালে। বসন্তের সবটুকু শুভ্রতা আর জানা অজানা ফুলের সুবাস নিয়ে। তপ্ত মরুভমির অসহ্য উত্তাপের তৃষিত হৃদয়ে সে এসেছিল এক ফোঁটো জল হয়ে। বসন্তের নির্মল হাওয়ায় আমার হৃদয় ভেসেছিলো ভালোবাসার প্লাবনে। একরাশ প্রশান্তির আবেশ ছড়িয়ে পড়েছিল দেহ-মনে...!! পাখির কলকাকলীর মতো সেই মধুর দিনগুলো ছিল স্বর্গীয় ভালোবাসায় ভরপুর। সেই প্রথম শুনেছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে আকাংখিত, প্রচন্ড ভালো লাগার শব্দটি " ভালোবাসি" বলেছিলাম - আমিও যে তোমায় ভালোবাসি। শুধু আজকের দিনটির জন্য কতদিন অপেক্ষায় রয়েছিলাম। বারবার যে আমি শুধু তোমাকেই চেয়েছি।গভীর ভালো লাগা আর ভালোবাসায় ছিলাম আচ্ছন্ন। সে আমার চোখে চোখ রাখল। এ এক অন্য রকম চাহনি, যে চাহনিতে সবকিছুই বদলে যায়। আমিও ওর কাজল কালো মায়াবী আঁখিতে মুগ্ধ বিস্ময় হয়ে চেয়ে থাকতাম। মনে হতো কত কথাই জমে আছে সে চোখে। কত কিছুই না ও দুটি চোখ বলতে চায়। মনে হচ্ছিল আমি সারাটি জীবন সেই মায়া ভরা চোখের দিকে চেয়ে থেকে কাটিয়ে দিতে পারব। সেই থেকেই ভেসেছিলাম ভালোবাসার স্

অ-লিখিত বাক্য

ছবি
লিখার মত অনেক অ-লিখিত বাক্য শুধু তোমার জন্যই আমি জমিয়ে রেখে দিয়েছি। তোমার ওই কাজল কালো টানাটানা হরিণীর মতো দুটি চোখ আর গাল টোল পড়া হাসি, বসন্তের বাতাসের মতো আমায় করে দিয়েছে উন্মাদ, রাতের ঘুমকে ঘুমপরী বানিয়ে আমাকে করে দিয়েছে ঘুমহীন মানব। তোমাকে কেন্দ্র করে আমি দিনরাত অবিরাম ভাবে আহ্নিক গতিতে আবর্তিত হচ্ছি। আর তোমাকে দেখেই যাচ্ছি, যেমন করে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে..!! জানিনা আর কত নিস্তব্দ বালকের মতো তোমার দিকে তাকিয়ে থাকব। জানিনা সামনে এসে তোমাকে কবে বলতে পারব বড্ড  " ভালবাসি তোমাকে" তুমি আমার অনন্তকালের সাথী, আমার অতন্দ্রপ্রহরী, আমার ভূবনের মহারাণী। গালে ডিম্পলপরা ওই রাঙা হাসিটা আমার মনকে ছুয়ে দেয়। এমন করে বেশী হেসো না, হাসিটা যতই দেখি ততোই তোমার প্রেমের অতল সমুদ্রে ডুবতে থাকি...!! আর হ্যাঁ, আশেপাশে একটু খেয়াল করলেই আমাকে দেখতে পাবে--------   "অপেক্ষায় রইলাম" রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ১৭ ফাল্গুন ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ১ মার্চ ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী