পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভাবনার নগরী

ছবি
কি করে এই সংক্ষিপ্ত কথায় আমার কথাগুলো ব্যক্ত করবো। আর কি করেই-বা এই কয়েক লাইনে আমি তোমাকে প্রকাশ করবো। তোমাকে নিয়ে লিখলে নতুন করে রামায়ণ-মহাভারত রচিত হবে। আমি আমার মনের মাধুর্য দিয়ে না হয় তোমায় ব্যক্ত করলাম---- আজ বৃষ্টির মাঝে তোমায় খুঁজেছি। তাই দু-হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিরর প্রতিটি ফোঁটার স্পর্শে তোমায় অনুভব করেছি। সত্যি আজ তোমাকে বড্ড মিস করছি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে তোমার চোখে চোখ রেখে, কোনদিনও কি পাবো ঠাঁই তোমার হৃদয়ের প্রান্তরে। হ্যাঁ আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে আমার হাতের মুঠোয় তোমার হাতটি বন্দি করে পাড়ি দিতে দূর থেকে বহুদূরে, জন-মানবহীন শূন্য সবুজ প্রান্তরে। যেথায় রবে শুধু তুমি আমার পাশে। আর আমাদের চার পাশটা ঘিরে থাকবে সবুজ প্রকৃতি। প্রকৃতির রোমাঞ্চকর পরিবেশে তোমার কোলে মাথা রেখে সময় পার হবে দুষ্টু-মিষ্টি আলাপনে !! আমি প্রান খুলে চিৎকার করে বলব----- আমি ভালোবাসি--- অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়...!! তুমি কি আসবে আমার বাহু ডোরে, আমি রাখবো তোমায় খুব যতন করে,জনম-জনম ধরে। হ্যাঁ আজ আমি এসেছি গো শুধু তোমারি হতে। তুমি কি আজ দেবে সাড়া আমার ডাকে...??? রচনাকাল

সময়ের স্মৃতি

ছবি
আজ খুব বিষন্নতা জেগে বসেছিলো শেষ বিকেলে। ধোঁয়া ওড়া চায়ের কাপও ভিন্ন গল্প বলছিলো। পাশের ছাঁদে সাদা আর লাল পোষাকের মেয়েটি স্মৃতির পাতায় আরেকটা আঁচড় কেটে দিয়ে গেলো...!! হেলাল হাফিজ শুধুই অনর্থক লিখে গেছে---- পাশের বেঞ্চিতে যুগল দেখে আফসোস হচ্ছিলো,       জীবনের স্বাদ-বেস্বাদ করতে যাচ্ছিলো !! জিরো পয়েন্টের ফুলের দোকান গুলোর মাঝে একসময় আমার যৌবন ছিলো। এখন নতুনত্বের আগমনেও দোকান গুলোর যৌবন বেস আছে, মাঝখান থেকে আমার শুধু প্রেমের বয়সটা পেরিয়ে গেছে। লাল টকটকে গোলাপ গুলো আমার দিকে আজও সেই দৃষ্টিতে তাকিয়ে রই। আমার বাকরুদ্ধ নিঃশ্বাস তাদের রক্তিম যৌবনে কলঙ্কের দাগ ফেলে দেয়। কোনো এক সকালে বা ষোড়শী সন্ধ্যায় মুঠোফোনে চেনা কন্ঠটা বলেছিলো---- পলক এই বৃষ্টি ভেজা লগনে আমার একটা টকটকে লাল গোলাপ চাই। আমি হয়তো আজ তার কাছে শত বছরের আগন্তুক হয়ে গেছি। তবুও সে যদি আজ দ্বিধা ঝেড়ে বলে উঠে-আমার সেই টকটকে লাল গোলাপ ফুলটি লাগবে, আমি নতুন করে ঈশ্বরের কাছে চেয়ে নেবো আমার খানিকটা যৌবনের বয়স দাও " হে ইশ্বর "  রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ১১ বৈশাখ ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী

এক পেয়ালা অণু-প্রেরণা

ছবি
আলোই যে শুধু মানুষকে পথ দেখায় এমন নয়, নিকশ কালো আঁধারও কাউকে কাউকে পথ দেখায়। শুধু আশা আর অনুপ্রেরনাই সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। গভীর হতাশাও কাউকে কাউকে পিছন থেকে ঠেলা দেয়...!! প্রত্যেকেরই জীবনে ছোট বড় গল্প থাকে। ভালবাসার গল্প, না পাওয়ার গল্প, কষ্ট পাওয়ার গল্প, অশ্রুভেজা রাতের গল্প, কারো থাকে না খেয়ে থাকার নির্মম গল্প, টিউশুনির গল্প, খাঁ খাঁ রোদে ভেজা শার্টের গল্প, আরো থাকে নির্মম অবহেলার গল্প, ছোট লোকের গল্প, বড় মানুষের গল্প...!! প্রতিটা কষ্টই মানুষকে শক্ত করে তোলে। নতুন করে চাপ নিতে শেখায়। হাজারো চাপে একদিন সে ভেঙ্গে যায় না। অবেলায় চোখে পানি আসে না। কচি লাউয়ের ডগায় যেদিন প্রথম কুঁড়ি আসে, কেউ ভাবে না এই ডগায় একদিন দশ কেজি লাউ ঝুলবে। ছোট বড় কষ্টগুলো নরম মানুষটাকে একদিন ইস্পাত বানিয়ে ফেলে। ভেঙ্গে যায়, অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে, হারিয়ে যায় অতলে। ব্যর্থদের গল্প আমরা লিখি না। হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে। সেই কষ্টের গল্প কেউ লেখেনা...!! অবহেলা আর হতাশা মানুষকে শক্তি দেয়। সেই শক্তির খোঁজ সবাই পায় না। সবাইকে দেখিয়ে দেবার প্রচন্ড একটা ইচ্ছা ভিতরে কাজ করে। এই ইচ্ছা ক

নিস্তব্ধ-রাত্রি

ছবি
আলোর ঝলকানিতে-ঝলসে গেছে মন। আলো আর সহ্য হয় না। চলমান জীবন কেমন যেন ঝিমধরা, জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া। দিনের আলোর গভীরে প্রত্যাশা গুলো বাঁধা পাই। ডানা ভাঁঙা আহত পাখির মন নির্দিষ্টের পথে, নিজেকে খোঁজার অবিরাম স্রোত এখনও এসে নামে নির্জন দ্বীপে। অ-শরীর ডানায় ভর করে নিঝুম রাত দূর গগনের মিটি মিটি নক্ষত্রেরা জাগে। সেই শুরু পথ চলা - - - - - - -  হাজার ব্যস্ততা শেষে শহরের শুনশান ল্যাম্প-পোষ্টের ছায়া নিজেকে বিদ্রুপ করে। তবুও আঁধার নামে পৃথিবীতে নিশ্চুপ নিরবতার মাঝে। নিজেকে মেলে ধরি গহীন অন্ধকারে জোনাকির মাঝে। শুধু বিছানায় শুয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে আকাশের অ-গণিত তারাদের মাঝে নিজেকে হারায়। তখন যেনো মনে হয়----- ফিরে এসো আঁধার আঁধারের খামে জমা হোক সকল সময়ের স্মৃতির স্বর-লিপি !! রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ৩০ চৈত্র ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী

প্রথম দেখা

ছবি
প্রথমবার যখন দেখেছিলাম তোমায়, কাজল কালো চোখে বন্দী করেছিলে অামায়। বাঁকা ঠোঁটের মিষ্টি হাসি অাজও আমাকে ভাবায়। তুমি মানুষ নাকি পরী এ বসুন্ধরায়। তারপর কতবার দেখা তবু হয়না কোনো কথা। সমস্ত ভালোবাসা বেমালুম হবার পর, নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছি অন্ধকারে। অন্ধকারে নীল রং ডুবে যায়, লাল রং ডুবে যায়, আমি ডুবে যাই, তোমার বেহায়া ছায়াতে। তোমাকে ডাকতে গিয়ে ডেকে বসেছি ভালোবাসার মৃত্যু-দূত...!! অবশ্য একদিন---- নীল সাদার গন্ডিতে আটকে যাবে সব অভিযোগ, আটকে যাবো তুমি-আমি। চূড়ির বেতালের সুরে আবার প্রেম জাগবে, আবেগ বাসা বাঁধবে। হৃদয়ের কম্পনে অন্তঃস্বত্তায় প্রবেশ করিয়ে বলতে ইচ্ছে করবে----- "ভালোবাসি তোমায়" কোনো অাশা অাকাক্ষা নিয়ে কথাগুলো বলিনি। তুমি ভালো থাকো এটুকুই যথেষ্ট। তোমার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল। এখন অার অামাকে না চিনলেও চলবে। কারণ কিছু জিনিস দূরে থাকাই ভালো...!! রচনাকালঃ   বঙ্গাব্দ: ২৫ চৈত্র ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী

নৈশব্দের চোরাবালি

ছবি
আমার জীবনের সুখময় প্রহরগুলো বন্দি, একাকিত্বের কিছু শব্দের বিলাসে নিবিড় কল্পনার ভাঁজে ভাঁজে গুঁজে রেখেছি কতো অব্যক্ত কথার আল্পনা। অগণিত রাত কেটে যায় প্রেমের সিক্ত আঁধারে, আমার আনন্দের ক্ষণগুলো নির্বাক ঘুমায়। চোখের পাতায় জেগে থাকে অতীতের কিছু দীর্ঘশ্বাসের আলিঙ্গন, শতাব্দীর আশাহত প্রান্তরে হাতছানি দিয়ে ডাকে আমার নিঃসঙ্গ হৃদয়ের হাহাকার। সব দ্বিধা ভুলে বেঁচে থাকি স্বার্থের এই জগতে, সময়ের ক্লান্তি ভুলে লিখে চলি অবিরাম...!! পাতায় পাতায় জীবনের শিরোন ামহীন কথাকাব্য, বিধ্বস্ত নীলিমার নীলে হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনিতে দেখি দীপ্তিময় সূর্যের হাসি, অজস্র দীর্ঘনিঃশ্বাসের বাঁধি সাতকাহন, নিরুদ্দেশ হই একাকী মিথ্যে প্রত্যাশার শহরে কত নির্মম ক্লেদ মাথা হাসি ঠোঁটের ডগায়-ভাসে। ভাষাহীন নির্বাক চোখে, আর কতোদিন হয়তো সীমাহীন নীরব যন্ত্রণা বুকে নিয়ে এভাবেই নিভে যাবে জীবনের শান্ত প্রদীপ, একদিন বিদীর্ণ পথের বাঁকে কোন এক নৈশব্দের চোরাবালিতে...!! রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ২২ চৈত্র ১৪২৩ খ্রিষ্টাব্দ: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী