পোস্টগুলি

Red_rose

ছবি
প্রিয়, # Red_rose কোন এক বসন্তে তোমাকে ক্ষনিকের জন্য খুব কাছে থেকে দেখেছিলাম তোমাকে। ঠিক তোমাকে দেখেছিলাম নাকি তোমার স্বর্গীয় ঐশ্বর্য কে দেখেছিলাম বলতে পারিনা। প্রকৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে তুমিও সেদিন বসন্ত সাজে সেঁজেছিলে। কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্য তোমার সৌন্দর্যের কাছে একেবারেই মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। প্রকৃতির সব ঐশ্বর্য ছাড়িয়ে আমার চোখে সেদিন তুমি ধরা দিয়েছিলে, চন্দ্র থেকে ঝরে পড়া কোমনীয় জ্যোৎস্নার বৃষ্টির মতো। যে বৃষ্টিতে আমি মন ভরে ভিজেছিলাম। আর মনে মনে বলেছিলাম------ " আহা এমন তো কখনো দেখিনি " সেদিন বেশিক্ষণ তাকাতে পারিনি তোমার দিকে, কারন একটা কথা আমার মনে পড়ে গিয়েছিল----------- " যাকে দেখলাম এই মূহুর্তে সুন্দরির বেশে, যদি ছিনিয়ে নিয়ে যায় কোন অপরিচিত পুরুষ বীরের বেশে " সেইদিন অপরুপ কারু-কার্য মিশ্রিত হলুদ শাড়ী পরে কার জন্য অপেক্ষা করছিলে জানিনা, জানতেও চাইনা, কারণ সে অধিকার আমার নেই। #Red_rose আমার ব্যাকুল মন খুব করে চেয়েছিল কিছুক্ষনের জন্য হলেও তোমার হাতে হাত রেখে বসন্তকে ছুয়ে দেখতে। পারিনি আমি আমার মনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে। তবুও হতাশ হইনি আমি। কা

মৌমেসু

ছবি
প্রিয়, মৌমেসু তোমায় প্রথম দৃষ্টিমেলে দেখেছিলাম ফেসবুকে। প্রথম দর্শনেই মনে হয়েছিল, তুমি একজন আবেগ-তাড়িত প্রজাপতির প্রহর। কি ভয়ঙ্কর সুন্দর তুমি, তোমায় দেখার পর থেকে বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে আমার মনের আকাশ। তুমি সেই নাম না জানা ফুলের মতই সুন্দর, যা দেখে আমি বার বার চমকে উঠি।আজ প্রতিটি ক্ষনে হৃদয়ে যে পরম সত্যটি অনুভব হচ্ছে-তা হলো-আমি শুধুই তোমার। তুমি বৃষ্টি ভেজা ঘাসের মতো সুন্দর। তোমার চঞ্চল পথ চলা, আর মিষ্টি মধুর কথা বলা, আমাকে আর ঠিক থাকতে দিল না, পাগল করেই ছাড়লো------- দিনের সূর্যের কাছে যেমন রা তের অন্ধকার ম্লান হয়ে যায় তেমনি দাম থাকে না চাঁদের আলোরও। কিন্তু আজ তোমাকে দেখে বুঝতে পারলাম, রহস্যময়ী সৌরজগতের মত বিধাতাও কিছু পার্থিব জিনিসকে লুকায়িত রেখেছে এই পৃথিবীতে যা এক কথায় অতুলনীয়। যার কাছে হার মেনে যায় প্রভাতের সূর্য, নিশি রাতের চাঁদের আলো। তোমার মাঝে কোটি কোটি তারা আলোক উজ্জ্বলতার সন্ধিপথ খুঁজে পাই আমি, তেমনি আজ তোমার চেহারা ঝলকানিতে সুরভিত হয়েছি আমি------- তোমার ওই রূপের ঝলক আমাকে দিশেহারা করে দেয়, তোমাকে যতই দেখি আমার মুগ্ধতা ততই বেড়ে যায়। জানো? পহেলা ফাগুনে শাড়িত

প্রেরিত পত্র তামান্না

ছবি
প্রিয় মেহেদী স্যার আপনি আমাদের জীবনে এসেছিলেন বসন্তের ঝোড়ো হাওয়ার মতোন। স্বাভাবিকভাবেই বস্তুহারা ছিল আমাদের জীবন। কোথায় যাব, কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখন আপনি এলেন পথের দিশারী হয়ে। শীতের রুক্ষ প্রকৃতিতে আগমন ঘটল আপনার প্রস্ফুটিত ফুলের উপর নির্মল প্রজাপতিরূপে। যার চলন শান্ত ধীর, পবিত্র, গাম্ভীর্যপূণ। আপনি সেই প্রজাপতি যাকে শক্ত করেও ধরা যায় না আবার আলতো করেও ধরা যায় না, সে চলে যাবেই। কিন্তু আমরা বোধহয় আপনাকে একটু বেশি শক্ত করে ধরতে চেয়েছিলাম। তাই ফুলের ফৌঁটাটাও সম্পূর্ণ হতে দিলেন না। আমরা না হয় দোষী, পাপী, অপরাধী কিন্তু সেই ফুলটার কি দোষ ছিল যাকে আপনি অপূর্ণ রেখেই চলে গেলেন। মানছি স্যার সব ভালোকে বেশিক্ষণ কাছে রাখা যায় না। যেমন আমরা রাখতে পারি নি জাতির পিতাকে। কিন্তু তার সময়টাতোও এত অল্প ছিল না। বসন্তও তো প্রকৃতির কাছে কিছুদিন হার মেনেই থেকে যায়। রেখে যায় তার চলার চিহ্ন, তার আপন মহিমা। কিন্তু সেই বসন্তকে পূর্ণতা দানকারী প্রজাপতিটিকে প্রকৃতি কোন এত দ্রুত হারালো বলতে পারেন স্যার...? প্রকৃতিও কখনো কখনো তাল হারিয়ে ফেলে। কেমন করে আবার যেনো তাল ফিরেও পায়। আপনিও আমাদের মাঝে এসেছি

অদৃশ্য মানবী

ছবি
ভালবাসার এক অন্য রকম অনুভূতি তুমি। মানুষ এতটা হাসি খুশি, চঞ্চল, প্রাণবন্ত হয় তোমাকে না দেখলে বুঝতাম না। রোজ দেখি তোমায়, কতটা সহজ, সরল, স্বাভাবিক তুমি। যে কেউ তোমার প্রেমে পড়বে। প্রথম দেখাতেই পেয়েছিলাম স্বর্গীয় অনুভূতি, বুঝেছিলাম অন্য আট-দশটা মেয়ের মত তুমি না। তারপর যতবার দেখেছি শুধু ভাললাগার গভীরেই হারিয়ে গেছি। সেই ভাললাগা যে এভাবে আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে, আমাকে স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করাবে এটা আমার অজানায় ছি ল। তোমার স্নিগ্ধতা আমার মন ছুয়েছে, তোমার মুগ্ধ হাসি আমার পথ চলার শক্তি...!! প্যারিস রোডে প্রথম দেখার ক্ষণটাও ছিল আমার জীবনের স্পেশাল মুহূর্ত। তোমার হাসিটা আমার হৃদয়ে ছুয়ে যায় গ্রীষ্মকালের শীতলতার আবেশ ছড়িয়ে। চশমাতে তোমাকে অনেক ভালোলাগে। যতবার তোমাকে দেখি ততবারই তোমার মাঝে হারিয়ে যায়। কল্পনার রাজ্যে তুমি আমার অদৃশ্য দেবী। স্বপ্নে তুমি আমার অপ্সরী---------- কিন্তু হঠাৎ কোন এক অজানা কারণে তোমার ফেইসবুক আইডির ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বুঝিয়ে দিলে তোমার কাছে আমার মূল্যটা কতটুকু। আজও অপেক্ষায় আছি তোমার, আশায় আছি কোন এক নিশ্চুপ মৌন সন্ধ্যায় তোমার হাত

বিবর্ণ ক্যানভাস

ছবি
আকাশের চাঁদ সুন্দর বলে চেয়ে থাকি, সেকি মোর অপরাধ। তুমিও তো সেই সুন্দরের প্রতীক। তাই চেয়ে থাকি, সেটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে বিজ্ঞ বিচারক কে বলব যেন শাস্তি হিসাবে তোমার মনের গহীন বনে নির্বাসন দেয়...!! তোমার হরিণীর মত টানা কাজল কালো চোখ আর তোমার মায়াবী রুপের আলোক-ছটা প্রতীবিম্ব রেখার আগ্নেয় তীর বার বার আমার মনকে আঘাত করেছে। বিদ্ধ করেছে বার বার আমার মনের সরল চাওয়া ও নিগূড়িত আত্মাকে। একই আকাশের নিচে একি কলেজ হলেও ডিপার্টমেন্ট টা দুজনের ভিন্ন। হোক অন্য ডিপার্টমেন্ট ধরলাম না হয় অন্য ক্যাম্পাসে তুমি একজন, তবুও প্রথম দেখা হয়েছিল আমাদের ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে..!! আমি দেখিনি তোমায় কিন্তু দেখেছি তোমার সরল চোখ, চোখে দেখেছি অপার প্রেম আর শেষের কবিতার লাবণ্যর মত আঁকা ভালবাসার ক্যানভাস !! আর কিছু পারি কিনা জানিনা, তবে এটা নি:সঙ্কোচে বলতে পারি, তোমারই মায়াবী রুপ আর হরিণীর মত টানা টানা কাজল কালো চোখ দেখে দু-চারটে কবিতা লিখতে পারি অনায়াসে !! রচনাকালঃ বঙ্গাব্দ: ২৪ বৈশাখ ১৪২৪ খ্রিষ্টাব্দ: ০৭ মে ২০১৭ রচনা-স্থান: রাজশাহী

বৃষ্টিস্নাত ক্যাম্পাস

ছবি
অসাধারণ একটা বৃষ্টির দিন গেল আজ। আজকের আকাশেও ঘুরে ফিরে আসিতেছে তোমারি স্মৃতি। গতকালের কথা ভেবে ভেবে আজকেও সকালে একটু বৃষ্টি হল। এখনও আকাশে কিছু মেঘের আনাগোনা চলছে। মাঝে মাঝে একটু আধটু রোঁদ-আবার রিমঝিম বৃষ্টি। আর বৃষ্টির সময়টাতে ক্যাম্পাসে খুব একটা ক্লাস হয়না বললেই চলে। ক্যাম্পাসে অবসরে সময়ে বসে বসে ভালোও লাগে না, ইচ্ছে করে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটার মাঝে নিজেকে উজার করে দিতে। ইচ্ছে করে সবার চোখকে ফাঁকি দ িয়ে প্রিয় মানুষটার হাত ধরে রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজতে !! বৃষ্টি ভেজা ক্যাম্পাসের সবুজ গাছপালা যেন আরো টেনে নিয়ে যেতে থাকে প্রকৃতির অনেক কাছে। বৃষ্টির দিনে ক্যাম্পাসে যুগলবন্দীদের একসাথে বৃষ্টিতে ভেজার ধুম পড়ে যায়। আবার কোথাও দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাওয়ার দৃশ্য, টঙের উপর ভেজা বেঞ্চিতে বসে চা খাওয়া, কারো হাত ধরে কিছুটা সময় গল্প করা- গভীর আবেগের সৃষ্টি করে। কখনো কখনো বৃষ্টিতে আধভেজা হয়ে-নিজের কথাগুলো গুছিয়ে নিয়ে কবি হয়ে ওঠা, এ যেন প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে লেখা কবিতাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তোলে..!! মাঝে মাঝে ছাতা হাতে হালকা বৃষ্টিতে ভিজে প্রিয় কারো পাশে হেঁটে চলা, সেই সাথে নতুন কিছ

ভাবনার নগরী

ছবি
কি করে এই সংক্ষিপ্ত কথায় আমার কথাগুলো ব্যক্ত করবো। আর কি করেই-বা এই কয়েক লাইনে আমি তোমাকে প্রকাশ করবো। তোমাকে নিয়ে লিখলে নতুন করে রামায়ণ-মহাভারত রচিত হবে। আমি আমার মনের মাধুর্য দিয়ে না হয় তোমায় ব্যক্ত করলাম---- আজ বৃষ্টির মাঝে তোমায় খুঁজেছি। তাই দু-হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিরর প্রতিটি ফোঁটার স্পর্শে তোমায় অনুভব করেছি। সত্যি আজ তোমাকে বড্ড মিস করছি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে তোমার চোখে চোখ রেখে, কোনদিনও কি পাবো ঠাঁই তোমার হৃদয়ের প্রান্তরে। হ্যাঁ আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে আমার হাতের মুঠোয় তোমার হাতটি বন্দি করে পাড়ি দিতে দূর থেকে বহুদূরে, জন-মানবহীন শূন্য সবুজ প্রান্তরে। যেথায় রবে শুধু তুমি আমার পাশে। আর আমাদের চার পাশটা ঘিরে থাকবে সবুজ প্রকৃতি। প্রকৃতির রোমাঞ্চকর পরিবেশে তোমার কোলে মাথা রেখে সময় পার হবে দুষ্টু-মিষ্টি আলাপনে !! আমি প্রান খুলে চিৎকার করে বলব----- আমি ভালোবাসি--- অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়...!! তুমি কি আসবে আমার বাহু ডোরে, আমি রাখবো তোমায় খুব যতন করে,জনম-জনম ধরে। হ্যাঁ আজ আমি এসেছি গো শুধু তোমারি হতে। তুমি কি আজ দেবে সাড়া আমার ডাকে...??? রচনাকাল